অত্যাধুনিক সড়ক নির্মাণে সওজ ডেক্স নিউজঃ বর্তমান সরকারের আমলেই দেশের সড়ক ও জনপথে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরেও। অনেক যোগ্য ব্যক্তিদের কাঁধে ভর করেই দেশের সড়ক…
অত্যাধুনিক সড়ক নির্মাণে সওজ
অত্যাধুনিক সড়ক নির্মাণে সওজ
ডেক্স নিউজঃ বর্তমান সরকারের আমলেই দেশের সড়ক ও জনপথে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরেও।
অনেক যোগ্য ব্যক্তিদের কাঁধে ভর করেই দেশের সড়ক পথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
দেশের সরকারের ইমেজ বেশি নষ্ট হয় সড়ক ও জনপথের বেহাল অবস্থা থাকলে। বিধ্বস্ত সড়ক থাকলে যেন সব সেক্টরের মানুষের মাঝে এক তিক্ত অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়।
এরফলে পথযাত্রীরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ও সরকারকে নিয়ে করতে থাকেন বিরূপ মন্তব্য। এতে করে সরকারের ইমেজে আঘাত লাগে।
দেশের সড়ক অবকাঠামোর ব্যবস্থাপনায় বর্তমান সরকারের রয়েছে দূরদর্শিতা। এক সময়ে খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা সড়কে যেন দুর্ভোগের কমতি ছিল না।
জেলায় জেলায় মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা অন্যতম কারণ ছিল সড়কের বেহাল দশা।
তবে বর্তমানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঠিক অর্থ বরাদ্দ, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং প্রতিটি সেক্টরের সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়েই দেশের সড়ক ব্যবস্থা
এখন বিভিন্ন দেশের কাছে যেন নজির স্থাপন করে চলেছে।
বিশেষ করে গত এক দশকে এ খাতে ঘটেছে বিপ্লব। নদীর তলদেশ থেকে শূন্যে গিয়ে পৌঁছেছে এই অধিদপ্তরের বিপ্লব।
বর্তমানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ২২,৩৬২.৮২১ কি.মি. সড়ক, ৩,৫৪৮টি ব্রিজ, ৮৫৬টি বেইলি ব্রিজ, ১৪,৮১৪টি কালভার্ট রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়কসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ও কালভার্ট উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট, উড়াল সড়ক, মেরিন ড্রাইভ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ।
ইতিমধ্যে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে টানেল আর শূন্যে হচ্ছে উড়াল সড়ক। মহা চ্যালেঞ্জের পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে দেশে।
দেশি-বিদেশি অর্থায়নে চলছে এসব কাজ। প্রতি বছর বর্ষা এলেই সওজের কর্মকর্তাদের নানা রকম চাপের মুখে পড়তে হয়।
সামান্য পান থেকে চুন খসলেই তখন তাদেরকে শাস্তিমূলক বদলির পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তও করা হয়ে থাকে।
রাস্তা মেরামতের জন্য তাদের হাতে যে কোনো টাকা নেই একথা বলার সুযোগও সওজ কর্মকর্তাদের প্রদান করা হয় না।
দেশের বিপুল পরিমাণ অবকাঠামোর মেরামতের জন্য বছরওয়ারী প্রদত্ত বাজেট অনেক কম হয়ে থাকে। বিশেষ করে জরুরি মেরামত এবং রুটিন মেরামত উপখাতে প্রতি বছর যে অর্থ প্রদান করা হয় তা কৌতুকপ্রদ বলা চলে।
এরই মধ্য দিয়েও বর্তমানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সওজ। কম বাজেট থাকলেও সততা, কঠোর পরিশ্রমে তাদের কাজের গতি অনেক বেড়েছে।
ফরিদপুর জেলার গ্রামীণ জনপদের মধ্য দিয়ে ভাঙা উপজেলায় গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে যেন মনে হয় ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা উন্নত কোনো বহির্বিশ্বের চিত্র এটি।
সদ্যনির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সড়কটি অতিক্রম করতে সময় লাগছে মাত্র ৪২ মিনিট।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার ফরিদপুরের ভাঙ্গা সদর উপজেলা।
পদ্মা সেতু চালু হলেই পূর্বে মাদারীপুর হয়ে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটে ঢাকা, পশ্চিমে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা-বেনাপোল, দক্ষিণে মাদারীপুর, বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা এবং
উত্তরে ফরিদপুর শহর হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো। এই সড়কের জন্য এখন ২১টি জেলার মানুষই উচ্ছ্বসিত।
সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-এসডব্লিউও (পশ্চিম)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
২০২০ সালের ১২ মার্চ বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে রয়েছে ছোট-বড় ২৯টি সেতু, ১৯টি আন্ডারপাস, ৫৪টি কালভার্ট, ৪টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ৫টি ফ্লাইওভার ও ২টি ইন্টারচেঞ্জ।
ভাঙা মোড়ে ৪টি আন্ডারপাস, ১টি ফ্লাইওভার ও ৪টি পৃথক লেন রয়েছে। সওজ সূত্রে জানা যায়, দেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং
জেলা সড়ক, ৪ হাজার ৪০৪টি সেতু এবং ১৪ হাজার ৮৯৪টি কালভার্ট রয়েছে। ৪ হাজার ৩৩১ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুতিকরণসহ ৫ হাজার ১৭১ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে।
৪১৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চারলেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে আরো ১ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এসব সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে দেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে সরকার।
পর্যটনশিল্পের বিষয়টি মাথায় রেখে এ তিন জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কপথও এখন উন্নয়নের মডেল। কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন সড়ক।
ঢাকা শহরের পশ্চিমাংশে নির্মিত হতে চলেছে চক্রাকার সড়ক।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী সুলতানা কামাল সড়কের জনভোগান্তির কথা স্মরণ করে বনশ্রী-আমুলিয়া-ডেমরা সড়কটি পিপিপি ভিত্তিতে
চারলেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন সড়কে ছোট-বড় সকল সমস্যা সমাধানে দিনরাত কাজ করে চলেছে সওজ।
এছাড়াও রাজধানীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি চলমান প্রকল্পের কাজ। নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোর কাজসহ দেশের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের সবগুলো প্রকল্পের কাজ
শেষ হলে আমূল বদলে যাবে দেশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা।
এতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন জনসাধারণ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইংয়ের জন্য করা হয়েছে একটি বিভাগ।
সেখানে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ পাঠানের বড় ছেলে এ কে এম মনির হোসেন পাঠান (অত
সারা বাংলার সকল আপডেট খবর পেতে যুক্ত হোন আমাদের সাথে