কিশোরগঞ্জের আলো খবরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার খরস্রোতা চাঁড়াল কাটা নদী এখন সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় ততোদূর যেন সবুজের সমারোহ। বর্ষায় যেখানে শুধু পানি আর পানি সেখানে এখন চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন…
কিশোরগঞ্জে খরস্রোতা চাঁড়াল কাটা নদী এখন সবুজে সমারোহ
কিশোরগঞ্জের আলো খবরঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার খরস্রোতা চাঁড়াল কাটা নদী এখন সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় ততোদূর যেন সবুজের সমারোহ। বর্ষায় যেখানে শুধু পানি আর পানি সেখানে এখন চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফসল।
শুকনো মৌসুমে নদীর বুকে চাষ করা হচ্ছে ইরি, গম, ভুট্টা, সরিষা, বীজ আলুসহ নানা ধরনের সবজি। সময়ের বিবর্তনে খরস্রোতা চাঁড়াল কাটা নদীর বুকে পলি জমায় আবাদে বাম্পার ফলনের মুখ দেখছেন চাষিরা।
বিশেষ করে উপজেলার বাহাগিলী, নিতাই, চাঁদখানা,পুটিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদীর বুকে চাষাবাদ করছেন কৃষক। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের কালুরঘাট ব্রিজের তলদেশে ইরি, ভুট্টা, গমসহ বিভিন্ন রকমের ফসলের সমারোহ।
নদীটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে কৃষকের চাষ ভূমিতে পরিনত হয়েছে। নদীর উপরের সেতু ছাড়া বোঝার কোনো উপায় নেই এটা কি নদী না ফসলি মাঠ।
উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের কৃষক নজরুল জানান, চাড়াল কাটা নদী বর্তমানে ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে। বালুর পরিবর্তে উর্বরতায় ভরে গেছে নদী।এ নদীতে ধানসহ যেকোন ফসল চাষ করলে ফলন ভালো হয়।
একই গ্রামের কৃষক জিকরুল হক বলেন,প্রতি বছর বন্যার সময় পলি মাটি এসে পড়ায় ফলন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়। উত্তর দুরাকুটির কৃষক মালেক বলেন, এখন নদী দেখে খালও মনে হয় না। কারণ নদীর পাড় নাই, গভীরতা নাই, নদীতে বালু নেই। যে কারণে আমরা ধানসহ সবজি
চাষ করে থাকি। এবছর আমি দেড় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, আমার ইউনিয়নের মাঝামাঝি চারালকাটা নদী বয়ে গেছে। প্রতি বছর দুপাড়ের মানুষ নদীর বুকে ধান চাষসহ ভুট্টা, গম, পাট চাষ করে থাকেন।