সাদেকুল ইসলাম,শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাফলা নামক সবুজ শ্যামল গ্রামের বুকে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে “বাফলা বিল”। চারিদিকে শুধু পদ্ম ফুলের সমারোহ। যতোদূর চোখ যায়…
কিশোরগঞ্জে বাফলা বিলে পদ্ম ফুলের মেলা
সাদেকুল ইসলাম,শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাফলা নামক সবুজ শ্যামল গ্রামের বুকে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে “বাফলা বিল”। চারিদিকে শুধু পদ্ম ফুলের সমারোহ।
যতোদূর চোখ যায় ততোদূর পদ্ম ফুলের মেলা আর মেলা। প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বিলের অপরুপ শোভাবর্ধন ঘটে নানা ফুল আর পাখিতে।
এ বিলে শুধু পদ্ম ফুলেই নয়, শীতের মৌসুমে অতিথি পাখির মেলাও বসে। আর পদ্ম ফুলের সুগন্ধি ও অতিথি পাখির কলরবমূখর পরিবেশে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
গ্রামের প্রধান সড়কের সাথেই সাপের ন্যায় এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে এই বাফলা বিল।
বিলটি এক পাশে যেমন রয়েছে ঘর-বাড়ি তেমনি আরেক পাশে রয়েছে বিশাল বড় ধানক্ষেত।
বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে বিলটি লাভ করে প্রশস্ততা। বিলটির সৌন্দর্যতা ধরে রেখেছে পদ্মফুল। এ যেন এক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
শরৎকালে বিলটি পদ্ম ফুলে ভরাট থাকে। এই সময় নানান জায়গা থেকে লোকজন ছুটে আসেন পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য দেখতে। আবার কেউ কেউ আসেন পদ্ম ফুল তুলতেও।
পদ্ম ফুলের অপার সুঘ্রাণ যেন মাতোয়ারা করে তোলে দর্শনার্থীদের। স্থানীয়রা জানান, যখন পদ্মফুল ফূটে তখন বিলের পাশে দিয়ে হেটে গেলেই সুঘ্রান অনুভব করা যায়।
তারা আরো জানান আমাদের এই বিলের ঐতিহ্য অব্যাহত থাকুক। শুধু যে পদ্মফুল তাই কিন্তু নয়, শীতকালে নানাত অতিথি পাখির আনাগোনা ঘটে এই বিলে। এই বিলের রুপ, সৌন্দর্য ধরে রাখতে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও
উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার, এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু নজর একান্তভাবে কাম্য করেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন সরকারিভাবে বিল টি পর্যবেক্ষণ করলে হয়ত একদিন বিনোদনের খোরাক জোগাবে বাফলা বিল।
দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসবে দর্শানাথী। এতে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে। সেই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।