লাতিফুল আজম, স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ নভেম্বর। সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ায় কারণে ঐ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে…
কিশোরগঞ্জে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করায় লিখিত অভিযোগ
লাতিফুল আজম, স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ নভেম্বর। সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ায় কারণে ঐ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এবং পরবর্তীতে ৩০ ডিসেম্বরের তারিখ ঘোষনা করেন।
সেই আলোকে গত ৩০ ডিসেম্বর সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের দ: রাজীব পল্লীশ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় ভোটগ্রহণ করার অনুমতি দেন নির্বাচন কমিশন।
সেখানে হোছেন আলী পিতাঃ মৃতু ফজলার রহমান, গ্রামঃ দক্ষিণ রাজিব, উপজেলাঃ কিশোরগঞ্জ, জেলাঃ নীলফামারী। তিনি বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী হিসাবে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
ভোট কেন্দ্রে তার ছেলে সোহেলকে এজেন্ট হিসাবে রাখেন তিনি। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে তাকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের কর দেয় প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কোন কথা শুনতে রাজি না, শুধু বার বার বলছেন নির্বাচন অফিসে গিয়ে কথা বলেন।
এদিকে বৈদ্যুতিক পাখার প্রতীকের প্রার্থী হোছেন আলী রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক অফিসার আব্দুল হান্নান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুল তথ্য দিয়ে এলোমেলো ভাবে ভোট সংখ্যা লিখে তাড়াহুড়ো করে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি মোট ভোট দেখিয়েছেন ১৮০৫ টি, তার মধ্যে মোরগ মার্কা ২২১টি, ভ্যান গাড়ী ৩১৭টি, তালা মার্কা ৪৩৯টি, টিউবওয়েল মার্কা ৩৪২টি, ফুটবল মার্কা ১৫ টি ও বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা ৪১৬ টি ভোট পেয়েছে।
সব ভোট যোগ করলে হয় ১৭৫০টি। কিন্তু তিনি দেখিয়েছেন ১৭১৫টি। অবৈধ(বাতিল)ভোটের সংখ্যা ৫৫ টি আবার মোট ভোট দেখিয়েছেন ১৮০৫ টি। যা যোগকরলে মিলছে না কোন ভাবে। হোছেন আলী আরোও অভিযোগ করে বলেন প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান মমিনুর নামে এক ছেলেকে এজেন্ট দেখিয়ে জাল স্বাক্ষর দিয়ে কাগজ হাতে দিয়ে চলে আসতে থাকে। তখন আমি ও আমার সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারকে ভাল করে আর একবার ভোট গননার জন্য বললে উনি কারো কথা শুনতে রাজি না, বলে প্রশাসনের গাড়ীতে চলে আসেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার উপজেলা মৎস্য অফিসার (অঃ দাঃ) রাবেয়া ইয়াছমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এত বড় ভুল হওয়ার কথা নয়। একজন প্রিজাইডিং অফিসার কিভাবে এরকম ভুল করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন আমি ঐ ইউনিয়নের দায়িত্বে নাই। তাই তিনি উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।