শাহজাহান ইসলাম লেলিন, শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ স্বার্নার মোড়ে ছোট একটা দোকান। শীতের সন্ধ্যায় সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছেন কয়েকজন তরুণ-বৃদ্ধ। দোকানের পাশে ফুটপাতে জ্বলছে দুটো চুলা। একটিতে মাটির…
কিশোরগঞ্জে শীতের আগমনে পিঠা বিক্রির ধুম
শাহজাহান ইসলাম লেলিন, শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ স্বার্নার মোড়ে ছোট একটা দোকান। শীতের সন্ধ্যায় সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছেন কয়েকজন তরুণ-বৃদ্ধ।
দোকানের পাশে ফুটপাতে জ্বলছে দুটো চুলা। একটিতে মাটির খোলা, অন্যটিতে ভাপা পিঠা তৈরির পাতিল বসানো। পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়ি নিয়ে তার ওপর খেজুরের গুড়, নারিকেল ছিটিয়ে দিয়ে ভাপে দিচ্ছিলেন দোকানি।
খোলায় বানানো হচ্ছিল চিতই পিঠা। তৈরি হতেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠা উঠে যাচ্ছিল ক্রেতার হাতে হাতে।
শীতের সন্ধ্যায় এমন চিত্র দেখা যায় অস্থায়ী একটি ভাপা পিঠার দোকানে। তবে এমন শতাধিক পিঠার দোকান রয়েছে আনাচকানাচে। সন্ধ্যা হলে প্রতিটি দোকানেই পড়ে পিঠা বিক্রির ধুম।
ফাস্টফুড সংস্কৃতির এই যুগেও শীতের গরম পিঠার জনপ্রিয়তা দিন দিনই বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা মৌসুমি পিঠাপুলির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ই তার বড় প্রমাণ।
সূর্য ডোবার পরপরই দোকানিরা তাঁদের পিঠার পসরা বসান রাজপথে কিংবা অলি-গলিতে। চুলায় আগুন জ্বেলে একের পর এক পিঠা বানতে থাকেন তাঁরা আর অন্যদিকে ক্রেতারা গরম গরম পিঠা সাবাড় করতে থাকেন।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খাবার উপভোগ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না অনেকে। এসব দোকানে পাঁচ টাকায় চিতই ও পাঁচ থেকে ১০ টাকায় ভাপা পিঠা পাওয়া যায়
এতে করে ব্যাবসায়ি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সুখেই চলছে সংসার।
এসময় রউব (৩২) নামে একজন বলেন, শীতের সন্ধায় এখানে আসলে অনেক সখের পিঠা পাওয়া যায় এটাই বড়। শীতের সময় পিঠা খেতে ভালোই লাগে।