জানে আলম, ঠাকুরগাঁওঃ চেয়েছেন শীতবস্ত্র পেলেন সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর। সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর প্রদান করে নজির স্থাপন করলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান। গণশুনানীতে অংশ নেয়া সতেরটি অসহায় ও ভুমিহীন…
ঠাকুরগাঁওয়ে কম্বল চেয়ে ঘর পেলেন ১৭ টি হতদরিদ্র পরিবার
জানে আলম, ঠাকুরগাঁওঃ চেয়েছেন শীতবস্ত্র পেলেন সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর। সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর প্রদান করে নজির স্থাপন করলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।
গণশুনানীতে অংশ নেয়া সতেরটি অসহায় ও ভুমিহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানকিভাবে ঘরের চাবি তুলেন দেন তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ের অসহায় দরিদ্র পরিবারের মানুষেরা জেলা প্রশাসকের নিয়মিত গনশুনানীতে অংশ নিয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তবে ব্যতিক্রম কয়েক দিন আগের গণশুনানী।
শীত বাড়তে থাকায় হতদরিদ্র পরিবারগুলো গণশুনানীতে অংশ নিয়ে বস্ত্রের জন্য আহবান জানালে জেলা প্রশাসক নিজের আগ্রহে তাদের বাসস্থানের খবর জানতে চান। তাদের মধ্যে ভুমিহীন পরিবারদের আশ্রায়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা জানালে আনন্দে আর্তহারা হয়ে উঠেন তারা।
তাদের মধ্য থেকে তালিকা করে শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কান্দরপাড়া গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে সতের জন ভুমিহীন পরিবারকে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের চাবি তুলে দেন। বসতভিটা বিহীন পরিবারগুলো ঘর বরাদ্দ পেয়ে বেশ খুশি।
পরে প্রত্যেক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
ঘর পাওয়া পরিবারগুলো জানান, আমরা গণশুনানীতে অংশ নিয়ে শীতবস্ত্রের কথা জানালে ডিসি সাহেব আমাদের বাড়ি আছে কি না তার খোজ খবর নেন। যাদের ঘরবাড়ি নেই ভুমিহীন তাদের ঘর দেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর আজ ঘরের চাবি তুলে দেন। আমরা কৃতজ্ঞ ডিসি সাহেবের কাছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, ডিসি স্যার ভুমিহীনদের কথা শোনার পর আজ ঘরের চাবি তুলে দিয়ে ব্যতিক্রমী কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, ভুমিহীনরা মাথা গোজার ঠাঁই পেল। পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে এমন চিন্তা থেকেই তাদের আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, জেলায় দুটি ধাপে চারহাজার তিনশ ঘর নির্মাণ সম্পুর্ন হয়েছে। আর তৃতীয় ধাপে নয়শ তিরাশিটি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।