নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রধান অর্থকরী ফসল আলু, গম, ভুট্টা, ধান হলেও অধিক লাভের আশায় বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ করছেন অনেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের …
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রধান অর্থকরী ফসল আলু, গম, ভুট্টা, ধান হলেও অধিক লাভের আশায় বানিজ্যিক
ভাবে মালটা চাষ করছেন অনেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের
এছাড়াও অনান্য সকল খবর পড়ুন এখানে
ময়নাকুড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আলু, গম, ভুট্টা, সবজি,চা বাগানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে লোকসান
গুনতে হয়েছে সিনহা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে। দীর্ঘ দিন ধরে এ-সব ফসল ফলে কোনো সুবিধা বা লাভ গুনতে পারে
নি। অবশেষে কোনো উপায় না দেখে বছর খানেক আগে বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ শুরু করেন। বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষের শুরুতেই লাভের সম্ভাবনা দেখে আরও
আগ্রহী হয়ে বাকী পতিত জমিতে মালটা চাষ শুরু করেন।বাগানে দায়িত্বরত কর্মচারী মমেদ আলী বলেন, সিনহা কোম্পানি বিভিন্ন
ফসল উৎপাদনে লোকসান হওয়ায় কোনো উপায় না পেয়ে মোট ২০ বিঘা জমিতে নাটোরের ৩ হাজার মিশুরী মালতার চাষ
শুরু করেন। প্রথম দিকেই প্রায় ৪৪ মণ মালটা যা প্রতি মণে ২ হাজার চারশত টাকা দরে বিক্রি করেন। যা প্রতি কেজি মালটা
৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এখন প্রতি মণ মালটা ৪ হাজার ৫ শত টাকা করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, মালটার বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় অনেকে মালটা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত মালটা
বাগানে বিভিন্ন মানুষ এসে ভিড় জমায়।
সিনহা কোম্পানির দায়িত্বরত প্রধান হাসেম আলী বলেন,প্রথম দিকে নাটোরের মিশুরী
জাতের মালতা কয়েক বিঘায় লাগানো হয়। পরবর্তীতে পরিসরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ বিঘা জমিতে মালটা চাষ শুরু করা হয়। বর্তমানে
কমবেশি সব গাছে তেই ফল এসেছে। কিছু দিনের মধ্যে শত শত মণ মালটা বিক্রি হবে। এতে আশা করা যাচ্ছে, অল্প কিছু
দিনের মধ্যে মালটা চাষ লাভের সাড়া জাগাবে। এবং আমাদের দেখা দেখিতে আরও অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি।
ময়নাকুড়ি এলাকার ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান আপেল জানান, সিনহা কোম্পানির মালটা চাষ দেখে এলাকার অনেকে মালটা
চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। অল্প খরচে পতিত জমিতে মালটা চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুষার কান্তি রায় জানান, এ উপজেলায় মালটার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মাটি আর
আবহাওয়ার কারণে। আমাদের কৃষি অফিসের নিজস্ব ৪০ থেকে ৫০ বিঘার মালটা বাগান রয়েছে। আর ফলন বাম্পার হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,মালটা চাষ করে খুব সহজে লাভবান হওয়া যায়। এ উপজেলার
বিভিন্ন এলাকায় মালটা চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠতেছে। মালতা চাষে তেমন কোনো খরচ হয় না বিধায় অধিক লাভবান হওয়া যায়।
সারা বাংলার সকল আপডেট খবর পেতে যুক্ত হোন আমাদের সাথে