রচনা : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার


ভূমিকা:

মানুষ ও অপরাপর উদ্ভিদ ও প্রাণী নিজ নিজ পরিবেশ থেকেই বাঁচার উপকরণ সংগ্রহ করে। যেসব উপকরণ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত অংশ আবার ফিরে যায় পরিবেশে। এভাবে জীবজগৎ ও তার পরিবেশের মধ্যে বেঁচে থাকার উপকরণের আদান-প্রদান চলে । আদান-প্রদানের ভারসাম্যের উপর জীবনের অস্তিত্ব নির্ভরশীল এ ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে তাকে বলা হয় পরিবেশ দূষণ। বর্তমান সময়ের সারা বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত একটি সমস্যা এই পরিবেশ দূষণ ।

 

পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ:

পাশ্চাত্য সভ্যতার হাত ধরে প্রকৃতির স্বর্গপুরী চির শ্যামল সবুজ বাংলাদেশে ও শিল্পায়নের দৈত্য নিয়ে এসেছে চির নিঃশ্বাসের মহামারী। এদেশে আজ স্থাপিত হচ্ছে অজস্র ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ-ভারী শিল্পকারখানা। শান্ত নিবিড় ছায়াসুশীতল শান্তিভূমির বক্ষবিদীর্ণ করে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে শত সহস্র যানবাহন। এদের ধূম্রজালে এদেশের আকাশ-বাতাস প্রতিমুহূর্তে কলঙ্কিত হচ্ছে। আর চাকার ঘর্মর শব্দে স্বস্তি ও শান্তির স্বর্গলোক প্রকম্পিত হচ্ছে নিয়ত।

পরিবেশ দূষণের কারণ:

পরিবেশ দূষণের নানাবিধ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

বায়ু দূষণ:

বায়ু আমাদের একটি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রতি নিয়ত নানাভাবে দূষিত হচ্ছে এ বায়ু। স্বাভাবিক বাতাসের উপাদান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাতাসে শতকরা ৭৮ ভাগ নাইট্রোজেন, ২১ ভাগ অক্সিজেন, ০.৬০ ভাগ আরগন, ০.০৩ ভাগ কার্বন ডাই-অক্সাইড ও ০.০১ ভাগ অন্যান্য উপাদান থাকে। আর এই উপাদানগুলোর ভারসাম্যহীনতা ও তার সঙ্গে নতুন কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত হলে বাতাস দূষিত হয়। বাতাসের প্রধান দূষক মূলত দুই ধরনের। কিছু হচ্ছে পার্টিকুলেটস বা বস্তুকণা এবং বাদবাকি হচ্ছে গ্যাস। বস্তুকণার মধ্যে রয়েছে এয়ারবর্ন পার্টিকুলেট ম্যাটার (এসপিএম)। গ্যাসের মধ্যে আছে কঠিন সালফার, নাইট্রোজেন, অক্সাইড, ধুলা, ধোঁয়া, ফিউম, উড়ন্ত ছাই, স্প্রে, মিস্ট এসব থেকে প্রায় ২০ ধরনের বস্তুকণা বাতাসে থাকে। বাতাস দূষণের ভয়ংকরতম উপাদান লেড বা সীসা। দূষণ প্রতিনিয়ত নানা জটিল ও কঠিন রোগের সৃষ্টি করছে। ঝুল জাতীয় কার্বন কণা থেকে ভারী ধাতু, জটিল জৈব যৌগ নিউক্লীয় আবর্জনা, জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। ক্লোরোফ্লুরোমিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা ইত্যাদি বায়ু দূষণ ঘটায়। বিভিন্ন অক্সাইড বাতাসের জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে তৈরি করে সালফার এবং নাইট্রোজেনের অম্ল। এসব গ্যাস ১০০০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়েও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এবং জল ও স্থলভাগের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে। এর ফলে মাটি, নদী, হ্রদ ইত্যাদির পানিতে অম্লের পরিমাণ বাড়ে, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বায়ুদূষণের আর একটি দিক হলো ভূ-পৃষ্ঠের ঊর্ধ্বাকাশে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ভাসমান কণার পরিমাণ বৃদ্ধি। এসব কণার মধ্যে ধূলিকণা থেকে শুরু করে কলকারখানা থেকে নির্গত নানা প্রকার রাসায়নিক কণাও থাকে ঊর্ধ্বাকাশে এই সব ভাসমান বস্তুকণার সঙ্গে জলীয় বাষ্প মিশে গড়ে উঠে বৃষ্টি-বিন্দু। এর ফলে অকাল বর্ষণ এবং বর্ষণের সঙ্গে ঝড় ও শিলা-বৃষ্টি হয়ে থাকে। এই দূষণ কৃষিকাজের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। সর্বোপরি বায়ু দূষণের ফলে আমাদের সামগ্রিক পরিবেশই হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

পানি দূষণ:

প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে প্রথমে খোঁজা হয় পানির অস্তিত্ব। পানি নেই তো প্রাগও নেই। বিশুদ্ধ পানি জীবন ধারণের প্রধান উপাদান। কিন্তু পেট্রোলিয়াম, গ্যাস, কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি পানি দূষণ ঘটিয়ে থাকে। এটিকল, কাপড় চিনিকল, তৈল উৎপাদন কারখানা, ট্যানারি, অস্ত্র কারখানা ইত্যাদির বর্জ্য পানিতে নিষিত হলে ঘটছে। কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মিশে দিয়ে পানি দূষিত হয়। অধিকাংশ শিল্প কারখানা নদীর তীরে স্থাপিত হওয়ায় বর্জ্য-সাম পতিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট, নাসিরাবাদ, পতেঙ্গা, কাপ্তাই, আটিয়ারি, ফৌজদারহাট ও গোলশহরের প্রায় ১৪০টিরও বেশি শিল্পকারখানার বর্জ্য কর্ণফুলি নদী ও বঙ্গোপসাগরে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। ঢাকার হাজারিবাগের ১৪১টি ট্যানারি থেকে নির্গত বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ও বুড়িগঙ্গার পানিকে সুধিত করছে। খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল ঘণ্টায় প্রায় ৪০ ঘন মিটার বার্জামিশ্রিত পানি ভৈরব নদীতে ফেলে। শহরগুলোর মানব ত্যাজা বর্জ্যও নদী-ডোবায় পতিত হয়ে পানি দুষিত হচ্ছে। লঞ্চ, স্টিমার ও জাহাজ • থেকে তেল নির্গত হওয়ার ফলেও পানি সূষণ ঘটে থাকে। উন্নত দেশগুলো প্রতি বছর সমুদ্রে হাজার হাজার টন রাসায়নিক বর্জ্য থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্প-কারখানার আবর্জনা ধ্বংস বা প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় তা নদীতে ফেলা হয়। আমেরিকা প্রতিবছর উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য আটলান্টিকে ফেলে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে।

মাটি দূষণ:

অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলানোর জন্য মানুষ জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রভৃতি ব্যবহার করছে। এছাড় বারবার উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে জমি চাষ করা হচ্ছে। এর ফলে মাটির উপরের উর্বর স্তর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মাটিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্য বৃষ্টির পানির মাধ্যমে মাটির গভীরে প্রবেশ করে ভূ অভ্যন্তরে গ্যাসীয় পদার্থের চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

শব্দ দূষণ:

শব্দ দূষণ বর্তমান সময়ে এক মারাত্মক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মানুষের শ্রবণেন্দ্রিয় ২০ থেকে ৪০ মাত্রার শব্দে স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ ক্রিয়া করে থাকে। কিন্তু শব্দ এই সীমা অতিক্রম করলে তাকে আমরা বলি হাইড্রোলিক হর্ন, কল-কারখানার শব্দ, মাইকের আওয়াজ প্রভৃতি বেশিরভাগ সময় ৭০ ডেসিবল অতিক্রম করে। শব্দ দূষণের ফলে মানুষ স্নায়বিক দুর্বলতা, অনিদ্রা, রক্তচাপ ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। পারমানবিক বোমা ও পরিবেশ দূষণ। বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে পারমাণবিক যুগ। কাঠ কয়লা ও তেল বহনের ফলে পরিবেশ যে পরিমাণে দুখিত হয়, পারমাণবিক দহনে দূষণের পরিমাণ তার চেয়ে কয়েক লাখ গুণ বেশি। পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ, প্রচণ্ড শক্তিশালী রকেটের সাহায্যে মহাকাশে অভিযান ও উপগ্রহ উৎক্ষেপণে বিপুল পরিশাণ বিষাক্ত গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।

তেজস্ক্রিয়তাজনিত দূষণ:

তেজস্ক্রিয়তারানিত দূষণ মানুষের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর এক ধরনের অদৃশ্য দূষণ। তেজস্ক্রিয়তার উৎস সূর্য ও মহাশূন্য যেখান থেকে তা পৃথিবীতে পৌঁছায়। ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তার অধিকাংশ বিকিরিত হয় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সামগ্রী থেকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লেজার রশ্মি, এক্সরে মেশিন, রঙ্গিন টেলিভিশন সেট, রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি। অধুনা পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বিশ্বব্যাপী মানুষের আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ হয়েছে।

রচনা : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার

পরিবেশ দূষণের প্রভাব:

বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথিবী নামের এ গ্রহটা মনু তথা প্রাণিকূলের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে মানুষের মাথা ধরা, দৃষ্টিশক্তিহীনতা এবং তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি অসুবিধা। দেখা দেয়। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ায় পৃথিবীর তাপমাত্রা দারুণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বরফ গলার পরিমাণ বাড়বে। বাড়তে থাকবে। সমুদ্রের পানি। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী ও নিম্নাঞ্চল বা সাগরের দীপাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে পৃথিবী থেকে ৭৬ রকমের প্রাণী ও কয়েক হাজার রকমের গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ১৩২ রকমের স্তন্যপায়ী ও ২৬ রকমের পাখির বংশ বিলুপ্তির পথে। ব্যাপকহারে পরিবেশ দূষণের ফলে বহু স্বাভাবিক ভূখণ্ড মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণরোধে করণীয়:

পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব কেবল সরকার বা কোনো নির্দিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তিবিশেষের নয়। এ দায়িত্ব সকলের, প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। তবে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার তুলনায় এক্ষেত্রে অধিক সাফল্য বয়ে আনে সমষ্টিগত প্রয়াস। যারা অজ্ঞতাবশত পরিবেশ দূষণে যুক্ত হচ্ছে, তাদেরকে সচেতন করতে হবে সমষ্টিগতভাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে। বিকল্প শক্তির ব্যবহারের ব্যবস্থা যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, সৌরশক্তি প্রভৃতি নির্ভর যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন না করে সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে বনায়ন বা বৃক্ষ রোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এছাড়াও যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন—

১। জাতীয় পরিবেশ নীতির সফল বাস্তবায়ন

২। আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করণ

৩। সমন্বিত পরিকল্পনায় ভূমি ব্যবহার

৪। ধর্মীয় প্রভাব বৈজ্ঞানিকীকরণ

৫। শিক্ষার হার বৃদ্ধি

৬। পরিকল্পিত নগরায়ন

৭। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাসকরণ

৮। চারণভূমি সম্প্রসারণ

৯। শিল্প স্থাপনে আবাসিক এলাকা বর্জন।

১০। শিল্পবর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ

১১। শিল্প এলাকা নির্দিষ্টকরণ

১৩। উপকূলীয় বনভূমির সম্প্রসারণ

১৪। ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধকরণ

১৫। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ

১৬। পরিবেশ সম্পর্কে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা

১৬। প্রাকৃতিক কীট-পতঙ্গ ধ্বংস হ্রাসকরণ

১৭। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা

১৮। বর্জ্যোর নিরাপদ অপসারণ

১৯। পরিবেশ সংরক্ষণে প্রচার সম্প্রসারণ

২০। শিল্প-কারখানায় পরিবেশ শিক্ষা বাধ্যতামূলককরণ

উপসংহার:

জীবন ও পরিবেশ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সুস্থ জীনের জন্য সুস্থ পরিবেশ অপরিহার্য। কিন্তু পরিবেশ দূষণ আজ ষোলকলায়, পূর্ণ, যা মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পরিবেশ দূষণের বিষবাষ্পে পৃথিবী আজ বিপন্ন, অনাগত মহাবিনাশের রাহুগ্রাসে নিপতিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ ও নিরাপত্তার কথা ভেবে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি ও তা বাস্তবায়নের আর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ নগর জনপদও শিল্প-জনপদকে হতে হবে দায়িত্বশীল ও পরিবেশ সচেতন। নইলে ভয়াবহ পরিণাম থেকে পরিত্রাণের আর কোন উপায় থাকবে না, সভ্যতার অপমৃত্যুও কেউ ঠেকাতে পারবে না। প্রাণঘাতী পরিবেশ দূষণের হিংস্র নখর খাবার করাল গ্রাস থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা তথা আমাদের প্রিয় ধরিত্রীকে বসবাসযোগ্য রাখার লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকার হোক—

চলে যাব, তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নব জাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


আরো দেখুন :

রচনা : তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
রচনা : কৃষিকাজে বিজ্ঞান
রচনা : অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী সমাজের ভূমিকা
Paragraph : Arsenic Pollution in Bangladesh

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top