মানবতার ফেরিওয়ালা-ডি আই জি হাবিবুর রহমান থাকবে আবদ্ধ ডায়েরির পাতাই তোমার সকল অবদান, কৃতজ্ঞতা জানাই কি করে বল তুমি যে নিবেদিত প্রাণ । ভালবাসা দিয়েছ দুস্থ অসহায়কে দিয়েছ তাদের আহার, বাংলাদেশ পুলিশের…
মানবতার ফেরিওয়ালা ডি আই জি হাবিবুর রহমান
মানবতার ফেরিওয়ালা-ডি আই জি হাবিবুর রহমান
থাকবে আবদ্ধ ডায়েরির পাতাই তোমার সকল অবদান,
কৃতজ্ঞতা জানাই কি করে বল তুমি যে নিবেদিত প্রাণ ।
ভালবাসা দিয়েছ দুস্থ অসহায়কে দিয়েছ তাদের আহার,
বাংলাদেশ পুলিশের রোলমডেল তুমি, তুমিই অহংকার
হ্যা ! বলছিলাম ডি আই জি হাবিবুর রহমান এর কথা।কোটি মানুষের আইডল হয়েছেন আজ যিনি
তিনি ১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় চন্দ্রদিঘলীয়া মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ জীবন শেষ করেন বঙ্গবন্ধু কলেজ গোপালগঞ্জ থেকে।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর তিনি বিসিএস এ অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পুলিশ ক্যাডারের জন্য মনোনীত হন।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।
অতঃপর পদোন্নতি ক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সহকারি মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দক্ষতা, সততা এবং কর্মগুণে তিনি পরবর্তীতে উপ মহাপরিদর্শক পদবি লাভ করেন, উল্লেখ্য এই কাজগুলোতেই দারুণ প্রশংসা লাভ করেন হাবিবুর রহমান।
ঢাকা রাজার বাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
বেদে পল্লী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের অতিষ্ঠ জীবনযাপনের কথা শুনে তিনি নিজে এগিয়ে গিয়ে তাদের জীবন বৃত্তান্ত শুনে, প্রথমেই ঢাকা সাভারে বেদে পল্লী সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।
সেখানে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ, মহিলাদের জন্য বুটিক হাউস সহ এমন নানা উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বেদে সম্প্রদায়ের জীবন যাপন সহজ করে দিয়েছেন এবং ওই সম্প্রদায়ের বাল্যবিবাহ রোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
এর পরবর্তীতে তিনি হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য সামাজিক ভিত্তিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন এবং হিজড়াদের জীবন যাপন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেন, এবং (উত্তরণ ফাউন্ডেশন) নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সংস্থার মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন সহজ ও স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন হাবিবুর রহমান।
পেশাগত কাজের বাইরেও তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ও এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন এর সহ-সভাপতি, এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এর সেক্রেটারি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি শুধু কর্মের গণ্ডির মধ্যে জীবনটাকে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন দুস্থ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণের পেছনে মানবতার স্বার্থে উনার এই কাজগুলো প্রশংসনীয়।
করোনাকালীন সময়ে তিনি নিজে স্ব-শরীরে মাঠে নেমে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন, মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজেকে এখনও নিয়োজিত রেখেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের জনকল্যাণ ধর্মী ভূমিকার অন্যতম আইকন ডিআইজি হাবিবুর রহমান হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ পুলিশের রোলমডেল। পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু এই মূলমন্ত্রকে তার দূরদর্শী নেতৃত্বগুণের শতভাগ প্রতিপন্ন করেছেন।
একজন মানুষকে কিভাবে সম্মান দিতে হয় তার উদাহরণ স্বরূপ শিখিয়ে গেছেন সহপাঠী এবং আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা হিসেবে।
উল্লেখ্য বেদে পল্লীর ৯০ বছরের একজন বৃদ্ধ সমস্যার মুখোমুখি হয়ে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের দ্বারস্থ হন, বেদে পল্লীর কিছু জনবল নিয়ে। অনেক অনুরোধ করার পরেও ডিআইজির কক্ষের সামনে রাখা অতিথি আসনগুলোতে বসার সাহস করছিলেন না বেদে পল্লীর মানুষগুলো।
অবশেষে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত ঢাকা রেঞ্জের ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ও উত্তরণ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিজের আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে সামনে এগিয়ে তাদের কথা গুলো শুনেন এবং তার সমাধান করে দেন।
কর্মজীবনের এ পর্যন্ত প্রশংসনীয় ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) লাভ করেন এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সহ পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে ২০১৬ সালের প্রশংসনীয় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে আইজিপি’স ব্যাজ প্রদান করা হয়।
তিনি সর্বমোট ৩ বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন এবং দুইবার প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পেয়েছেন সেবার সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহের পদক দেওয়া হয়, যা (বিপিএম) (পিপিএম) নামে পরিচিত প্রথমটি বাংলাদেশ পুলিশ পদক।
পরেরটি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক।
এ সকল কিছুর মাঝেও তিনি লেখক হিসেবে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ওনার লেখা বই “মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ”
এ বইটি দেশপ্রেম ও নিজেকে জাগ্রত করতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে পাঠকদের জীবনে।
তিনি যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মত স্বীয় আগুনে জ্বলে উঠা নতুন প্রাণের স্পন্দন ।
আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার জন্য আমি আপনাকে দৃঢ়কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।
এমন একটি করে হাবিবুর রহমানের জন্ম যেন হয় বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ।তাহলেই দুঃখ-দুর্দশা ও অনিয়মের আঁধার পেরিয়ে উদিত হবে এক সোনালী প্রভাত।ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সুস্থ, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি………
লেখকঃ
সাংবাদিক মফিজুর রহমান সোহেল
সাধারণ সম্পাদক সাভারস্থ গোপালগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি ও মহাসচিব বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটি।