ডিজিটাল বাংলাদেশ
“দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ খুব দ্রুত এই গুরুত্ব অনুধাবন করেছে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ২০০৭ সালেও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ ছিল সম্ভাবনাহীন একটি দেশ। খুব দ্রুতই দৃশ্যপট পরিবর্তন হয় যখন ২০০৮ সালে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর সহায়তায় আওয়ামী লীগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর বাংলাদেশ।
৪টি মূল লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে এই রকম উচ্চাভিলাষী একটি পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পরপরই এই ভিশন বাস্তবায়ন শুরু হয়।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে এটুআই প্রকল্প শুরু হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে আইসিটি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বিভক্ত করা হয় যাতে মন্ত্রণালয়ের কাজকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে উপর্যুক্ত ৪টি লক্ষ্যের ওপর কাজ করে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও স্বীকৃতি লাভ করে যার মধ্যে-
- ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU),
- ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স (WITSA) এবং
- ওয়ার্ল্ড সোসাইটি অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি (WSIS) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
“স্মার্ট ফোন ব্যবহার, মোবাইল ইন্টারনেট, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, এই ৩ ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির মানদণ্ডে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ৫০টি দেশের অন্যতম।”
১। এক নজরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ:
একবিংশ শতাব্দীর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বৈশ্বিক উন্নয়নের ধারায় বাংলাদেশকে যুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে বিগত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনসহ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ, মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ইন্টারনেট নিশ্চিত সারাদেশে; ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯৭৫ কি.মি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন, ২ হাজার ৪টি ইউনিয়নে WiFi Router স্থাপন এবং ১ হাজার ৪৮৩টি ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেমে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল অসমতা হ্রাসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং শিল্পাঞ্চলে ৫ হাজার ৮৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৫০ টি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা এসব সেন্টারের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সারাদেশে ৪ হাজার ১৮৪ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আইটি ও আইটিএস বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ই-গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ দপ্তর/সংস্থার মধ্যে তথ্য-উপাত্ত ইলেকট্রনিক উপায়ে আদান প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি এবং রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। আইসিটি শিল্পের বিকাশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৮টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ যার মধ্যে ৩টি পার্কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকিগুলোর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও সারাবিশ্বে সাইবার ঝুঁকি ক্রমবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করার লক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ প্রণয়ন এবং উক্ত আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় নতুন সংস্থা হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হয়েছে। সর্বোপরি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি, বেসরকারি এবং অ্যাকাডেমিয়া- এ তিন ক্ষেত্রের মিথস্ক্রিয়ায় বিশদ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বিধৃত করা হয়েছে।
২। তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন:
আইটি শিল্পের উন্নয়ন: বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৮টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করছে। এছাড়াও দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক/আইটি পার্ক স্থাপন এবং ৮টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী; বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েট; আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েট’ নির্মাণ এবং চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
৩। আইসিটি খাতে আয়:
বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের আয় ১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আইসিটি খাতে আয় (বিলিয়ন ডলার) বিনির্মাণের ১১ বছর পেরিয়ে দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকেও ডিজিটাল উন্নয়ন স্পর্শ করেছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচনী ইশতেহারে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিনটিকেই বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করছে।
আইসিটি খাতে আয় (বিলিয়ন ডলার)
২০০৮ – ০.০৩
২০১৯ – ১
২০২১ – ৫
উৎসঃ সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ
বিশ্বের ৬৭টি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রপ্তানি হচ্ছে। ১ বিলিয়ন ডলার এ খাত থেকে রপ্তানি আয় আসছে। তবে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায় বর্তমান সরকার।
৪। মহাকাশ যুগের শুরু:
১১ই মে, ২০১৮ (যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী) মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশ জয় করেছে। এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে এই মাইলফলক অর্জন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর সরাসরি তত্ত্বাবধানেই এসেছে এই অর্জন। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যার মধ্যে-অরবিটাল স্লট নিবন্ধন, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশেন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সাথে সমন্বয় সাধন উল্লেখযোগ্য ।
বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ কভারেজ নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি ২৬ কেইউ-ব্যান্ড এবং ১৪ সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার সমৃদ্ধ একটি পেলোড এর মাধ্যমে ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব থেকে পরিচালনা করা হবে। একটি ট্রান্সপন্ডার ৩৬ মেগাহার্টজ সমতুল্য। কেইউ-ব্যান্ড সমগ্র বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগর ও এর উপকূলবর্তী অঞ্চল, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন কভার করবে এবং সি-ব্যান্ড কভার করবে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, ভূটান, নেপাল, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাখস্তানের অংশ বিশেষ। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশে সবচেয়ে উন্নত, অত্যাধুনিক ডিজিটাল স্থাপনা। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে যার মধ্যে ইন্টারনেট সেবার পরিধি সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিখুঁত পূর্বাভাস, সম্প্রচার সংযোগ এর পরিধি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় অন্যতম। বাংলাদেশে ৭০০ এর অধিক ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে যা এখনও ইন্টারনেট সেবার আওতায় আসে নি। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরকার এই অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
৫। ইন্টারনেট ইন্টারনেট সংযোগ:
“২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশ হবে।”
বাংলাদেশে গত এক দশকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ লক্ষ । বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৬৪ লক্ষ ১০ হাজার। বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে মোবাইল ফোন, ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড। এই তিন মাধ্যমের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত।
৬। মোবাইল প্রযুক্তি:
৬.১. মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিধি ও ব্যবহার:
বাংলাদেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ এবং ৯৫ ভাগ অঞ্চল মোবাইল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও সেবার আওতায় এসেছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ৩ পার্বত্য জেলা (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি) মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসে। গত এক দশকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার যা ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ২ কোটি।
৬.২. ফোরজি/এলটিই প্রযুক্তি (LTE):
সাধারণ মানুষের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ফোরজি (ফোর্থ জেনারেশন) প্রযুক্তির সূচনা করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লি. (BTCL) প্রতিটি শহর, জেলা শহর, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে। এছাড়া এলটিই প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা পৌছে গেছে।
৭। আউটসোর্সিং ও বাংলাদেশ:
তরুণ জনশক্তিকে প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং এর জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি জনপ্রিয় প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক র্যাংঙ্কিং এ বাংলাদেশ অবস্থান করছে সেরা ১০টি দেশের মধ্যে। আইসিটি খাতকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। ‘আইসিটি খাতে নারীর টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে আগামী ৩ বছরে সারাদেশে নারীকে আইটি/আইটিইএস প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য সরকার ৭ ব্যাপী ১,৬৬,০০০ টি ডিজিটাল প্রশিক্ষণ বাস সেবা শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের ‘লেভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ’, ‘এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স’ প্রকল্পের আওতায়, অনলাইন আউটসোর্সিং বিষয়ে ৬ মাস ব্যাপী আন্তর্জাতিক তরুণকে প্রশিক্ষিত করা হবে। স্থানীয় ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১০,০০০ বিশেষজ্ঞের সহায়তায় প্রশিক্ষণ কোর্সের পাঠ্যসূচী প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের অধীনে ৫,১২০। তরুণকে পেশাদার আউটসোর্সিং এর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার আগে ইতোমধ্যেই ২০,০০০ নারী এবং ১,৯২০ গণমাধ্যম কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকলে আইসিটি খাতে ২০২০ সালের মধ্যে ৮৪০ কোটি টাকা এর অধিক আয় করবে। পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে আইসিটি খাতের মাধ্যমে ২,০০,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
[table id=4 /]
৮। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো:
‘আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।”
জাতীয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে বিশ্বমানের তথ্য ও প্রযুক্তি অবকাঠামো, সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ক্রমান্বয়ে প্রতিটি জেলায় হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক এবং সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
৮.১. হাই-টেক পার্ক:
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতু-বন্ধন তৈরির জন্য এবং এ খাতের গবেষণার সুযোগ তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৩টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ১৫টি ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে বাংলাদেশের প্রথম হাই টেক পার্ক নির্মিত হয়েছে।
- সরকারি পর্যায়ে আইটি এবং উদ্ভাবনী সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সংখ্যা ২৪ হাজার জন।
- আইটি সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে প্রাপ্ত কর্মসংস্থানের সংখ্যা ২৬ হাজার জন। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে উদ্যোক্তার সংখ্যা ১০ হাজার জন।
- শিক্ষকদের জন্য ICT in Education Literacy, Troubleshooting and Maintenance বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ৩৬ হাজার ২০ জনকে।
৮.২. সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক:
ঢাকায় ১২ তলাবিশিষ্ট একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে। ৩০৪.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোরের বেজপাড়ায় ২,৩২,০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট আরও একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলো সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার এবং গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।
৮.৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার:
প্রতিটি ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন। ২০০ ধরনের সেবা-
√ সকল ধরনের সরকারি ফর্ম
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনগত তথ্য ও চাকুরির তথ্য
√ নাগরিকত্ব সনদ
√ জমির পর্চা
√ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া
√ ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন বিল প্রদানের তথ্য
√ পাবলিক পরীক্ষার ফল
√ পাসপোর্ট ভিসা সম্পর্কিত তথ্য
√ কৃষি তথ্য
৯। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ:
তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশে প্রথমবারের মতো আংশিক হলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০২০-২১ সালের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮.৭ শতাংশ বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগকে এককভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল এক হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবিসমূহে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে পরিচালন খাতে ৩৬৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৪৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
১০। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযুক্তি:
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যেখানে রোবোটিক, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, থ্রি- ডি পেইন্টিংসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি, ট্রাবল শুটিং অ্যান্ড মেইনটেনেন্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে; যেখানে এ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
১১. সুশাসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:
ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার সরকারি প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনে এবং জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ২৪,৯০৭ টি ট্যাবলেট কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে। সারাদেশে ৮০০ এর অধিক ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সকল সরকারি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই অধিকাংশ সরকারি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে যার মধ্যে-
√ টেন্ডার,
√ পরীক্ষার ফলাফল,
√ প্রকিউরমেন্ট,
√ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি আবেদন,
√ চাকরির আবেদন ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
√ আয়কর রিটার্ন দেয়া,
√ বিল প্রদান,
জনপ্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে আরও বেশি স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে ই-গভর্ন্যান্স এবং ই-প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে। সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ই-সার্ভিস সেন্টর স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। বর্তমানে সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র এর পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড প্রদান শুরু করেছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা পাওয়া যাবে।
১২. সামগ্রিক উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ যেভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে তা দেখে আমি অভিভূত।”
স্থানীয় সরকার ও তৃণমূল পর্যায়ে আধুনিকায়নের সুফল পৌছে দিতে বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্যোগটি হচ্ছে ডিজিটাল সেন্টার। ৭ বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫,২৭৫ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই ডিজিটাল সেন্টার গ্রামীণ জনপদে ২০০ ধরণের ডিজিটাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিমাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা নিয়ে থাকে। এই ডিজিটাল সেন্টারগুলো স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করছে। ১০,০০০ এর অধিক উদ্যোক্তা ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সাথে সম্পৃক্ত।
১২.১.পোস্ট ই-সেন্টার:
ডাক সেবাকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি সরকার ৮,৫০০ পোস্ট অফিসকে ই-সেন্টারে রুপান্তরিত উদ্যোগ নিয়েছে সরকার যেখান থেকে গ্রামীণ জনপদের মানুষকে আইটি সেবা দেবে ই-সেন্টারগুলো। বর্তমানে এই পোস্ট। ই-সেন্টারগুলো বিভিন্ন ই-সেবা প্রদান করেছে যার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা, বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ উত্তোলন, পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইন আবেদন সেবা, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সেবা অন্যতম।
১২.২.ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল:
তথ্যসেবাকে আরও অনেক বেশি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গড়ে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। ২৫,০০০ ওয়েবসাইট থেকে সৃষ্ট এই ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল এর মাধ্যমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সেবাসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল পোর্টাল : ২৫,০০০ ওয়েবসাইট + ২০ লক্ষ কন্টেন্ট
১২.৩.ই-জুডিশিয়ারি:
বিচারকাজে সময় ও অর্থ বাঁচাতে নতুন অর্থবছরে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকার । অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের আদালতগুলোকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে রূপান্তরিত করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রতিটি আদালত এবং বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন দফতর যেমন: থানা, হাসপাতাল, কারাগার এবং সম্পৃক্ত ব্যক্তি যেমন: তদন্তকারী, সাক্ষী আইনজীবী, আসামি সবাই একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকবেন, ফলে মামলা ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ হবে।
১৩. ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বীকৃতি ও সম্মাননা:
সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাঁকে এ সম্মাননা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে,
(i) Govinsider Innovation Award-২০১৯
(ii) WITSA Global ICT Excellence Award-২০১৯
(iii) DCD-APAC Award-২০১৯
এছাড়াও আইসিটি খাতে-
i. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
ii. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) আইসিটি সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
iii. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন, যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো শপথ নেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণই ছিল তাদের
নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান বিষয়। ‘ভবিষ্যৎ এখানেই’ (ফিউচার ইজ হেয়ার) স্লোগান নিয়ে আয়োজিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সেবা, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের প্রদর্শনী, সেমিনার, তরুণদের নানা উদ্যোগ দেখা ও নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা করা ছিল বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার এবং বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
“বাংলাদেশ প্রবলভাবে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করছে।”
You may also like
রচনা : স্বদেশপ্রেম Composition : Refugee Cricis Composition : Metro Rail