মোঃ শাহজাহান ইসলাম লেলিন, শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জলিলুর রহমান ডাবলু’র বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিনা অনুমতিতে জোড় পূর্বক উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে আবেদন করার…
শিক্ষার্থীদের অনুমতি ছাড়াই জোড়পূর্বক অনলাইনে আবেদনের অভিযোগ
মোঃ শাহজাহান ইসলাম লেলিন, শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জলিলুর রহমান ডাবলু’র বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিনা অনুমতিতে জোড় পূর্বক উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষককে মানুষ গড়ার কারিগর বলা হলেও এই অধ্যক্ষ মো জলিলুর রহমান ডাবলু তিনি পেশাগত দিক থেকে মহৎ হলেও তার অসৎ কার্যক্রম বারবার শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংসের পরিকল্পনাই করে চলছেন। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ এই ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ জলিলুর রহমান ডাবলু।
আজ ৯ জানুয়ারি রবিবার অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের ২০২১ ইং সনের এসএসসি পরীক্ষার্থীগন সেই বিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে পাশ করে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য শহররে উন্নত কলেজে ভর্তি হতে চাইলে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশিতে মতো নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনলাইন আবেদন করেন। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অত্র বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণ সোহেল বলেন, আমি গতকাল বিকালে অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে দেখি আমার আবেদন হচ্ছে না তারপর জানতে পারি আমার আবেদন নয়নখাল স্কুল এন্ড কলেজে হয়েছে কিন্তু আমি ওখানে ভর্তি হতে চাই না। এ কথা শুনে রাতে প্রধান শিক্ষককের বাড়িতে গিয়ে কান্না করেও তিনি আমার কোনো কথা শুনেননি।
এসমোতারা বলেন,আমার ইচ্ছা আমি বড় হয়েছে ডাক্তার হতে চাই এজন্যে ভালো কলেজে পড়তে চাই নয়ানখালে পড়ে কিছু হওয়া যাবে না। কিন্তু স্যার আমাদের বিপাকে ফেলেছে। আমি চাই আমাদের এই অনলাইন আবেদনটি বাতিলের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে আমরা ইচ্ছেমত ভর্তি হতে পারি।
নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো জলিলুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে একাধিকবার ফোন করার পর তিনি বলেন, আবেদন করেছি কাল কাগজ পত্র ফেরৎ দিবো।শিক্ষার্থীরা কাগজ চাইলে পা ভেঙ্গে দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা কথা বলছে। আমি কিছু বলি নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটি এম নুরুল আমীন শাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষক যা করেছে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তিনি জুলুম করে কাউকে ভর্তি করাতে পারেন না। তাকে কাগজ পত্র ফেরৎ দেয়ার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে।