গাজীপুর প্রতিনিধিঃ শ্রীপুরে ১০টাকা কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকার কর্তৃক হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০টি…
শ্রীপুরে ১০টাকা কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ শ্রীপুরে ১০টাকা কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকার কর্তৃক হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০টি অবৈধ কার্ড দিয়ে ডিলারের চাল গ্রহণ, কার্ড করা কালে ইউপি সদস্যের টাকা গ্রহণ, নানান অজুহাতে কার্ড ফেরত নিয়ে,
ওই কার্ড ধারী ছাড়ায় চাল উত্তোলনসহ বিভিন্ন কায়দায় বিতরণ কারীরা চাল আত্মসাত করে হতদরিদ্রদেরকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত চার বছর পূর্বে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে ১০টাকা কেজি প্রতি জন কার্ড ধারীকে ৩০ কেজি করে চাল
দেয়ার ডিলারশিপ নিযুক্ত হন বরমী বাজারের রওশন আলী বেপারীর ছেলে ইসমাইল হোসেন। আর সংশ্লিষ্ট এলাকার তালিকা তৈরি করেন ইউপি সদস্যগণ।
প্রতি দুই মাস পর পর ১০ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে চাল গ্রহণ করেন ওই কার্ডধারীরা। বিগত প্রায় চার বছর যাবৎ নামে-বেনামে ২০টি কার্ড দিয়ে অবৈধভাবে চাল উত্তোলন করার অভিযোগ
উঠেছে ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবীর ও ডিলার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। গত মার্চ মাস থেকে ডিলার পরিবর্তন হয়ে ইসমাইল হোসেনের স্থলে গিলাশ্বর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম নতুন ডিলার নিযুক্ত হন।
তিনি চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে চাল বিতরণ শুরু করেন। এরই মধ্যে নতুন ডিলার বুঝে উঠার আগেই বিভিন্ন লোককে কার্ডধারীর সাজিয়ে ২০টি অবৈধ কার্ডের মাধ্যমে ৩০কেজি করে নতুন ডিলারের
কাছ থেকেও দুদফা চাল উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন ইউপি সদস্য হুমায়ুন ও পুরাতন ডিলার ইসমাইল হোসেন।
বিষয়টি পুরাতন ডিলারের সহযোগী রতনের কাছে জানতে পেরে নতুন ডিলার সিরাজুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর চাল বিতরণ কালে পুরাতন ডিলার ইসমাইল ওই ২০টি কার্ডের চাল নিতে আসলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয় ডিলার সিরাজুল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী হামিদুল হক বরমী বাজারে উপস্থিত হয়ে পুরাতন ডিলার ইসমাইলের কাছ থেকে ২০টি অবৈধ কার্ড জব্দ করেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজনের সমানে বরমী ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন সরকার কার্ড গুলো তাকে দিয়েছে বলে জানান সাবেক ডিলার ইসমাইল।
এ সময় পুরাতন ডিলার ও ইউপি সদস্য হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ ও মুখ না খোলার জন্য ডিলার সিরাজুলকে নির্দেশ দেয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
হাতেনাতে অবৈধ কার্ড গুলো জব্দ করার পরও তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া এবং খাদ্য কর্মকর্তার ভূমিকা দেখে হতাশা
ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উপস্থিত জনতা। হতদরিদ্র ওই ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে বরমী ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের গিলাশ্বর গ্রামে গিয়ে কথা হয় রিক্সা চালক কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জন্ম প্রতিবন্ধী আতিকুলের সাথে।
সে জানায়, ইউপি সদস্য হুমায়ুন সরকার চার বছর পুর্বে ১০টাকা কেজি চাল দিবে বলে তার কাছ থেকে ছবি আর জাতীয় পরিচয় পত্র নেয়।
কিন্তু এ যাবৎ এক বারও চাল পাইনি সে। একই গ্রামের হিরনের স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, চার বছরপূর্বে চালের কার্ড করেছেন,
দুই বার চাল উঠানোর পর হুমায়ুন মেম্বার কার্ডটি নিয়ে যায়।
এক বছর পরে ফেরত দেয়ার পর দেখতে পায় তার কার্ড দিয়ে আরো চারবার চাল উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু চার বারের চাল সে পায়নি।
ওই গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রানী বেগম ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা মেরামতের কাজ করেন ।
দুইবার চাল উঠানোর পর হুমায়ুন মেম্বার কার্ড নিয়ে যায় এবং ৩০০টাকা অফিসিয়াল খরচ লাগবে বলে জানালে রানী বেগম তা
দিকে অপারগতা প্রকাশ করায় মেম্বার আর কার্ড ফেরৎ দেননি। এছাড়াও হুমায়ুন কবির মেম্বার ও সাবেক ডিলার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে কার্ড নিয়ে প্রতারনার
অভিযোগ করেছেন গিলাশ্বর গ্রামের রাবিয়া,হনুফা,আব্দুল্লাহ, রোকসানাসহ আরো অনেকেই। ২০টি কার্ড জব্দ ও
এছাড়াও অনান্য সকল খবর পড়ুন এখানে
হতদরিদ্র কার্ডধারীদের চাল না পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাজী হামিদুল হক তার অফিস সহকারী শাহীনকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার পর গিলাশ্বর গ্রামে
প্রতিবন্ধী আতিকুলের বাড়িতে তার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র আনার জন্য পাঠান। কিন্তু চার বছর কার্ড করেও চাল না পাবার ক্ষোভে আতিকুল কার্ড লাগবে না বলে
শাহীনকে সাফ জানিয়ে দেন। নতুন ডিলার সিরাজুল ইসলাম জানান, অবৈধ ২০টি কার্ড জব্দ করার কথা প্রকাশ করায় তাকে উচিত শিক্ষা দিবে এবং ডিলারশীপ বাতিল করে
দিবে বলে হুমকি দেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাজী হামিদুল হক।ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির জানান,প্রায় চার বছর আগে তিনি স্বল্পমূল্যের ১০টাকা কেজি চাল পাবার কার্ড গুলো করে দিয়েছেন।
জব্দকৃত ২০টি কার্ডের বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জানেন,,এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।পুরাতন ডিলার
ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে রাজি হয়নি। বরমী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে
অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি তথ্য দিতে
অপারগতা প্রকাশ করেন এবং প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার মাধ্যমে ২০টি কার্ড জব্দ করা হয়েছে এবং বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দোষীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেও বলে তিনি জানান।
সারা বাংলার সকল আপডেট খবর পেতে যুক্ত হোন আমাদের সাথে
আরও পড়ুন,
- How Does Your Cash App Go Negative?
- How Far Does the Walkie Talkie App Work
- How is My Cash App in the Negative?
- How Much is Coin Snap App?
- How Much Does It Cost to Make an Educational App
দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ