মুজিব বর্ষ (১৭মার্চ ২০২০-২৬ মার্চ ২০২১)
ক্ষণগণনা শুরু:
৩১ অক্টোবর, ২০১৯ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনশতবর্ষ উদযাপন কমিটির প্রস্তুতিমূলক এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে। কিছু ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১০ জানুয়ারী ২০২০ কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা শুরু কথা ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয়ভাবে কাউন্টডাউন উদ্ভোধন করেন । প্রতিটি জেলা এবং উপজেলা ও সব গণপরিসরে (পাবলিক প্লেস) একই সাথে কাউন্টডাউন শুরু হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান:
১৭ মার্চ ২০২০ রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের বছরব্যাপী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে । দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে মুজিববর্ষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ফ্লাইপাস্ট, ১০০ শিল্পীর অংশগ্রহণে যন্ত্রসঙ্গীতে বাংলা ও ইংরেজিতে থিম সং পরিবেশন এবং ৫৫ মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লেজার শো।
স্মারক নোট প্রকাশ:
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হবে- স্বর্ণমুদ্রা একটি, স্মারক মুদ্রা, ১০০টাকার স্মারক নোট ও একটি ২০০ টাকার স্মারক নোট। ১৭ মার্চ ২০২০ এ নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ৬ ধরনের স্মারক নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া এ পর্যন্ত স্মরক মুদ্রা তৈরি করেছে ১২ ধরনের।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন:
বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হবে। মার্চ ২০২০ দুই দিনের জন্য বিশেষ ঐ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা হবে। এ অধিবেশনে বিদেশি অতিথিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
টকিং স্ট্যাম্প প্রকাশ:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রকাশ করবে ‘টকিং স্ট্যাম্প’। ৭ মার্চ ২০২০ প্রকাশিতব্য এ ডাকটিকেটে স্পর্শ করলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের উল্লেখযোগ্য অংশ শোনা যাবে । এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
বিশ্বজুড়ে মুজিববর্ষ
বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা UNESCO। এর ফলে শুধু বাংলাদেশের সীমানার মধ্যেই নয়, বছরব্যাপী নানা আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপিত হবে বিশ্বের ১৯৩টি দেশেও। ২৫ নভেম্বর ২০১৯ প্যারিসে UNESCO’র সদর দপ্তরে সংস্থার ৪০ তম সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশের সাথে মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । ২৭ নভেম্বর ২০০৯ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন প্রস্তুতি কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা UNESCO’র সাথে মুজিববর্ষ একযোগে পালনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর আগে ৩-১৭ এপ্রিল ২০১৯ প্যারিসে UNESCO’র ২০৬তম নির্বাহী বোর্ড সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ ভাবে উদযাপনের প্রস্তাব সংস্থাটির সাধারণ সভার ৪০ তম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে এ প্রস্তাবে দুই সদস্য রাষ্ট্রের লিখিত সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে। বাংলাদেশের এ প্রস্তাবে ভারত, জাপান, কিউবা, নেপাল ও পোল্যান্ড লিখিত সমর্থন দেয়। ফলে ২০৬তম বোর্ড সভায় প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এরপর ১৪ নভেম্বর ২০১৯ UNESCO সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনের প্রোগ্রাম ও বাজেট সম্পর্কিত এপিএক্স কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবনাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশসহ প্লেনারি সেশনে পাঠানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর নামে UNESCO’র পুরস্কার
বঙ্গবন্ধুর নামে ২০২০ সাল থেকে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করতে যাচ্ছে UNESCO. গবেষণা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিকাশে তরুণদের উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার দেয়া হবে। ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কারের জন্য UNESCO কে অর্থ দেবে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুকে ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে ঢাবি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) । বিশ্ববিদালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র হওয়ায় তাকে এ ডিগ্রি দেয়া হবে । মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রী (মরনোত্তর) দেয়া হবে।
[table id=21 /]
বিঃদ্রঃ মুজিববর্ষ নিয়ে আমাদের বিশেষ লিখা পড়তে ক্লিক করুন— আমাদের মুজিব।
আরো দেখুন :
Paragraph : Eve Teasing
Paragraph : Gender Discrimination
Paragraph : Load Shedding
সাধারণ জ্ঞান : মুজিব বর্ষ – ২০২২