রাকিব হাসানঃ ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল এই শহরের মানুষ খেলা প্রিয়। অন্যান্য শহরে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল বেশি জনপ্রিয় হলোও এখানে প্রতিবারই দেখা যায় তার উল্টো চিত্র অর্থাৎ এখানে ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটের…
সৈয়দপুরের ক্রিকেটারদের আপেক্ষ কবে শেষ হবে
রাকিব হাসানঃ ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল এই শহরের মানুষ খেলা প্রিয়। অন্যান্য শহরে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল বেশি জনপ্রিয় হলোও এখানে প্রতিবারই দেখা যায় তার উল্টো চিত্র অর্থাৎ এখানে ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে এ শহরের ক্রিকেট কিংবা ফুটবল কোনটাই পিছিয়ে নেই কোন অংশে। বলছিলাম নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কথা।
সৈয়দপুর কে প্রতিভাবানদের শহর বললেও হয়তো ভুল হবে না ।কেননা এখানকার প্রতিটি মানুষ তার নির্দিষ্ট প্রতিভা দিয়ে এই শহরকে তুলে ধরছে বিশ্বের কাছে। ঠিক তেমনি সৈয়দপুরের খেলোয়াড়েরা প্রতিনিধিত্ব করছে বড় বড় মঞ্চে ও বিভিন্ন ছোট বড় ক্রিকেট লীগগুলোতে যার উজ্বল দৃষ্টান্ত অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দল ও বিপিএল খেলোয়ার নুর আলম সাদ্দাস , রবিউল হক ঢাকা লীগ খেলোয়াড় নওশাদ ইকবাল, তৌকির খানের মতো ক্রিকেটাররা ঠিক তেমনি ভাবে ফুটবলের সর্বোচ্চ লীগ বিপিএলে প্রতিনিধিত্ব করছে হাবিবুর রহমান নোলক ,মহিউদ্দিন রানু ও জসিমের মতো খেলোয়াররা।
সৈয়দপুরকে প্রতিনিধিত্ব করার মত অনেক খেলোয়ার সৈয়দপুরের পাইপলাইনে এখনো রয়েছে তবে তাদের সঠিক পরিচর্যা ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে তারা খুব কম সময়ে ঝরে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যােগে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় ১০টির মতো ক্রিকেট ও ফুটবল একাডেমী।যেখানে প্রতিনিয়ত অনুশীলন করছে শত শত ক্ষুদে খেলোয়াররা।
মানসম্মত মাঠ ও পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ না থাকায় এখানকার খেলোয়াররা নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। শুধু বিপিএল কিংবা ঢাকালীগ নয় সৈয়দপুরের বিভিন্ন ক্রিকেটার খেলছেন ঢাকার ১ম ,২য় ও ৩য় বিভাগেও। তবে তাদের আক্ষেপ একটাই সৈয়দপুরে তারা পর্যাপ্ত টুর্নামেন্ট কিংবা লীগ খেলার সুযোগ পায় না।কেননা এখানে ব্যক্তি উদ্যােগে টুর্নামেন্ট হলেও তা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম বললেও চলে। কারন ভালো পারফরমেন্সের জন্য সবসময় খেলার মধ্যেই থাকার কোনো বিকল্পনেই।
অথচ দীর্ঘ ৮ বছর ধরে হয়নি সৈয়দপুর উপজেলা লীগ যা বার বার হতাশ করে এই এলাকার ক্রিকেটারদের।
জানা যায় ২০০৩ সালের পর সর্বশেষ লীগ আয়োজন হয়েছে ২০১৩ সালে সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রবাহ সংসদ।
নিয়মিত লীগ আয়োজন না হওয়ায় অনেক ক্রিকেটার অল্প সময়ে তাদের চিরচেনা ছন্দ হারিয়ে ফেলছে।
প্রতিবছর নীলফামারী ডিএসএ লীগেও সৈয়দপুরের বিভিন্ন ক্লাব অংশগ্রহন করে থাকে। তবে সৈয়দপুরে কোনো লীগ আয়োজন না হওয়া হতাশ তারা। দিনশেষে তাদের আপেক্ষ যেনো এখানে।
পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় ও নিজের ভবিৎষতের কথা চিন্তা কর অনেকেই পারি জমাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন
ক্লাবে। সাবেক ক্রিকেটারা যখন ক্রীড়া সংগঠকের ভূমিকায় একাডেমী করে ভাল খেলোয়ার তৈরি করতে উদ্যােগ নিয়েছেন সেখানেও পাচ্ছেন না কোনো ধরনের সহযোগিতা। যা সৈয়দপুরের ভবিৎষতের জন্য মঙ্গলজনক নয় বলে দাবি করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সৈয়দপুরের খেলোয়ার ও ক্রীড়া সংগঠকরা জানান, সৈয়দপুরে অনেক ভাল ভাল খেলোয়ার রয়েছে এতে কোনো
সন্দেহ নেই। বয়সভিত্তিক দল থেকে নিয়ে বিপিএল পর্যন্ত সৈয়দপুরে খেলোয়াররা কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ
দিন ধরে উপজেলা লীগ না হওয়ায় আমাদের খেলোয়াররা তাদের প্রতিভা বিকাশের কোনো প্লাটফর্ম পাচ্ছে না।
তাই আমরা অনুরোধ করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সৈয়দপুরের ভবিৎষত চিন্তুা করে যেনো আবারও উপজেলা লীগ চালু করার জন্য।
সারা বাংলার সকল আপডেট খবর পেতে যুক্ত হোন আমাদের সাথে
YouTube