মিজানুর রহমান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত রফিকুল স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তার নাম লেখাতে পারেনি। উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের…
স্বাধীনতার ৫০ বছরে স্বীকৃতি মেলেনি যোদ্ধাহত রফিকুলের
মিজানুর রহমান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত রফিকুল স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তার নাম লেখাতে পারেনি।
উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহেদ চোকদার ও মাতা কুলসুম বেগম এর সন্তান মোঃ রফিকুল ইসলাম চোকদার (৬৭)জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ২৯১৬২৫৫৯৩৭০৭৩। যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিয়া গ্রুপের কাছে পাকবাহিনীর স্হানের খবরাখবর, খাবার,পানি খাইয়ে সহযোগীতা করেন বলে যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চোকদার বলেন।যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবুল হোসেন গত ০৩-০৬-২০১৪ ইং তারিখে তার সাথে ৮ নং সেক্টরে কাজ করায় রফিকুল ইসলাম চোকদারকে একটি প্রত্যায়ন পত্র দেন।
এছাড়া যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকায় এবং পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততকালিন মহাকুমা প্রশাসনের মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম চোকদারকে ৫০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। যাহার পি,এম,আর,এফ -১৭৩ সিডি/ ডি, এ, সি-১১/৮০ ডেট ১৮-০৫-৭৪ ক্রমিক নম্বর -১০৩।
মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে আবেদন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইতে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় না রাখায় পুনরায় মুক্তিযোদ্বা যাচাই – বাছাই নির্দেশিকা -২০১৬ এর বিধান মতে চেয়ারম্যান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর আপিল দায়ের করেন।
যাহার রিসিভ নং ১৯২৩৫।
স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই বলেন যুদ্ধের সময় পাক-হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত রফিকুল ইসলাম চোকদার স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাদের নিকট জোর দাবী জানান। অপরদিকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চোকদার পাকবাহিনীর গুলির আঘাতের যন্ত্রণা আজও ভুগছেন। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৫০০ টাকা ছাড়া তার কপালে আর কিছুই জোটেটি।
যুদ্ধাহত রফিকুলের পরিবারের দাবি তাকে যেন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখা হয়।